হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩৭০০ বছর আগেকার আরবী বর্ণমালা সামূদী আরবীয় বর্ণমালা । এ বর্ণমালা হিজায , নজদ ও আরবোপদ্বীপে ব্যবহার করা হত । এ বর্ণমালা থেকে পরবর্তীতে গ্রীক , রোমান , সেরিলিক ( রূশ স্লাভ বর্ণমালা ) এবং ইথিওপীয় বর্ণমালার উৎপত্তি।
এজন্য থামূদীয় ( সামূদীয় সামূদ জাতির নামানুসারে ) বর্ণমালাকে থামূদিক ইথিওপিক স্ক্রিপ্ট বলা হয় । স্মর্তব্য যে সামূদ ( থামূদ ثَمُوْد) জাতি আদ (عاد) গোত্রের মতো বিলুপ্ত আরব ( আল - আরব আল - বায়েদা Extinct Arabs ) গোত্রসমূহের অন্তর্ভুক্ত ।
এ বর্ণমালার বৈশিষ্ট্য : এ বর্ণমালা ডান থেকে বামে , বাম থেকে ডানে , উপর থেকে নীচে ( ডান থেকে বামে এবং বাম থেকে ডানে লেখা যায় । প্রাচীন কালে গ্রীক ও রোমান/ ল্যাটিন বর্ণমালা প্রধানত: ডান থেকে বামে ( আরবী বর্ণমালার মতো ) লেখা হত ।
পরবর্তীতে বাম থেকে ডানে লেখার স্টাইল গ্রীক ও রোমান / ল্যাটিন বর্ণমালায় প্রাধান্য লাভ করে । যদিও ধারণা করা হয় যে গ্রীক রোমান / ল্যাটিন সেরিলিক বর্ণমালাগুলো ফিনীকীয় ( Phoenician فینیقي ) বর্ণমালা থেকে উদ্ভূত ।
ফিনীকীয়রা আরবদের মতো সেমিটিক ( সামী سامي ) । আর আরবী ভাষা ও ফিনীকীয় ভাষার মধ্যে অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক ও মিল বিদ্যমান বলে একই ভাষার দুই রূপ ও মনে করে অনেকে। লেবানন , তিউনিসিয়া , লিবিয়া , আলজেরিয়ায় বসবাসকারী ফিনীকীয় বা ফিনিসিয়রা খ্রীষ্টীয় অষ্টম ও নবম শতাব্দীতে আরব ও ইসলামের আগমন হলে তারা ইসলাম ধর্ম ও আরবী ভাষা গ্রহণ করে ।
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান